অয়ন নিয়োগী
সকাল ঐত্রি কাছে Good morning massage-টা অন্যান্য দিনের মতো না পাওয়ায় মন ভালো নেই শুভর। কাল তার সাথে একটা ছোট্ট বিষয় নিয়ে জমেলা করে ঐত্রি। এমনি কথা হতে হতে; হঠাৎ প্রশ্ন করে বসে,"এই তুই কি দেখে আমাকে ভালোবাসলি?"সত্যি এই প্রশ্নটার উত্তর ছিল না শুভর কাছে, কারন সে এই প্রশ্নটা কোনোদিন ভাবেই নি। শেষে ঐত্রি বিরক্ত হয়ে বলে ফেলে,"যা তোর সাথে কথা নেই আর।" যদিও এই একই কথা ও আগেও বলেছে, কিন্তু একটু পরেই আবার সব ঠিক। কিন্তু সেই কাল বিকেলের পর থেকে আর কথা বলে নি, ঐত্রির একটাই বায়না, "যতক্ষন না বলিস, কেন ভালোবাসি? ততক্ষণ কোনো কথা নেই।"
আর থাকতে পারল না শুভ। শেষ এক বছর কোনোদিন এতক্ষণ কথা না বলে থাকেনি ওরা। ফোন তুলে নিয়ে শুভ যায় WhatsApp-এ ঐত্রির চ্যাটে, যেখানে লেখা শুরু করল শুভ।"তুই কাল বার বার জানতে চাইছিলি তো, কেন আমি তোকে ভালোবেসেছি। তাহলে বলি, আমি তোকে ভালোবাসার কারন জানি না, আর বিশ্বাস কর জানতেও চাই না। কারনটা জেনে গেলে আমাদের ভালোবাসার একটা সীমা থাকবে, ভালোবাসার বাধা থাকবে। আমি চাইনা আমাদের মধ্যে সেটা থাকুক, আমি তোকে ভালোবাসতে চাই শর্তহীন, সীমাহীন ভাবে।এটা লিখেই send button-এ প্রেস করে শুভ।
প্রায় সাথে সাথেই single tik, double tik, blue tik.
এই দিক থেকে একটা massage আসে,"sorry, রে। বিকেলে আমাদের সেই জায়গায় আয়, আর আসার সময় কি আনতে হবে সেটা নিশ্চয় বলতে হবে না।"
শুভ যেন এটার জন্যই অপেক্ষা করছিল। সাথে সাথে সে লেখে,"না, এতো দিনে বুঝে গেছি তোর প্রিয় চকোলেট, আর একটা কাগজ ফুল। ভালোবাসি রে তোকে।"
ঐত্রির ফোনে লেখাটা ভেসে উঠতেই, কেমন একটা ভালোলাগা কাজ করে ঐত্রির মনে; কেটে যায় জমে থাকা মন খারাপের কালো মেঘ। ঐত্রি লেখে,"হয়েছে, আর বলতে হবে না।"
ভালোবাসায় থাকুক ভালোবাসারা তাদের ভালোবাসার মানুষগুলোর সাথে।